সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মঠবাড়িয়ায় সেই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু 

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 

মঠবাড়িয়ায় সেই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু 

গত ২৮ জুলাই বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকার ‘মঠবাড়িয়া সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর সেই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ। 

সরেজমিনে তদন্তের জন্য সোমবার (৩১ জুলাই) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় যান। সম্প্রতি উপজেলার জানখালী গ্রামের বাসিন্দা মৃত. আ. গণি মৃধার ছেলে মো. বাচ্চু মৃধা সাপলেজা ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার তিমির কান্তি হালদারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযাগে করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত চার মাস পূর্বে উপজেলার জানখালী গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মৃধা, শ্যালক জুয়েলকে সাথে নিয়ে শ্বশুরের খেতাচিড়া মৌজায় সম্পত্তির ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের জন্য সাপলেজা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান। 

অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তিমির কান্তি হালদার তাদের কাছ থেকে নগদ ২০ হাজর টাকা গ্রহণ করেন এবং দাখিলার বইতে পাতা নাই তাই দাখিলা দিতে ২/৩ দিন সময় লাগবে বলে জানান। কয়েকদিন পরে ভুক্তভোগী তার কাছে গেলে তিনি গরিমসি শুরু করেন। এক পর্যায়ে জোর তাগিদ দিলে গত ২৬ জুন একখানা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ প্রদান করেন। 

যাতে বাংলা ১৪১৬ সাল হতে ১৪২৯ সাল পর্যন্ত ১৯ হাজার ৬৩৯ টাকা আদায় দেখানো হয়েছে। বিষয়টি বাচ্চু মৃধার সন্দেহ হলে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শ্যামল বাবুর কাছে গেলে তিনি যাচাই করে দেখেন তিমির কান্তি খাজনা পরিশেধের ভুয়া রশিদ তৈরি করেছেন। 

দাখিলার মূল কপিতে ১৯ হাজার ৬৩৯ টাকা এবং কার্বন কপিতে ভিন্ন নামে শুধুমাত্র ৮০ টাকা লেখা রয়েছে। ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারেন মোটা অংকের অর্থ নিয়েও ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তিমির কান্তি হালদার নিজের সিল ও স্বাক্ষরিত খাজনা (কর) পরিশেধের ভুয়া রশিদ ধরিয়ে দেন।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তিমির কান্তি হালদারের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে লাইনটি কেটে দেন। 

মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান বলেন, এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। গত ২৬ জুলাই তদন্তের দিন ধার্য থাকলেও উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তিমির কান্তি হালদার অসুস্থতার আবেদন করেন। বিষয়টি তদন্ত কার হচ্ছে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিএইচ